![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : নিউজফিডের চেয়ে এখন স্টোরিজে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে ফেইসবুক। তাদের ধারণা, স্টোরিজই সোশ্যাল মিডিয়ার ভবিষ্যৎ।
আর এ ভাবনা থেকেই প্রতিটি অ্যাপে স্টোরিজ যুক্ত করেছে ফেইসবুক। বর্তমানে ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেইসবুক, ম্যাসেঞ্জার সব অ্যাপেই স্টোরিজ পোস্ট করার সুযোগ আছে। প্রতিদিন অ্যাপগুলোতে সম্মিলিতভাবে ১০০ কোটি স্টোরিজ আপলোড হয়। বিজ্ঞাপনদাতাদের স্টোরিজে আকৃষ্ট করতেও নানা ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন জাকারবার্গের কর্মীরা।
স্টোরিজকে আর্থিকভাবে লাভজনক করার চেষ্টা চালাচ্ছে ফেইসবুক। তবে বিজ্ঞাপনদাতাদের নিউজফিডের পাশাপাশি স্টোরিজেও বিজ্ঞাপন দিতে উৎসাহিত করাটা অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জ। মোবাইলের জন্য বিশেষায়িতভাবে ভার্টিকাল ভিডিও বিজ্ঞাপন বানাতে এখনও নিরুৎসাহী কোম্পানিগুলো। তবে ফেইসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ স্টোরিজ নিয়ে আশাবাদী। তিনি মনে করেন, ফেইসবুক নিউজ ফিড থেকে বিবর্তিত হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্টোরিজে বিজ্ঞাপনের পরিমাণ বাড়বে।
২০১৬ সালে স্ন্যাপচ্যাট থেকে আইডিয়া ধার করে ফেইসবুক নিজেদের সব অ্যাপে স্টোরিজ চালু করে। স্টোরিজ হচ্ছে ক্ষণস্থায়ী ছবি ও ভিডিও যা ২৪ ঘণ্টা পর উধাও হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ব্যাকআপ রাখতে হয় না তাই কোম্পানিগুলোর জন্যও স্টোরিজ ব্যবস্থাপনাটি সাশ্রয়ী। এ কারণে প্রায় সব সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে স্টোরিজ ব্যবস্থাটি ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হবে বলে মনে করেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, ফেইসবুক স্টোরিজ পদ্ধতি আত্মীকরণ করায় স্ন্যাপচ্যাটের জন্য কিছুটা লাভই হলো বলা যায়। কোম্পানিটির বিজ্ঞাপন আয় গত বছর ৪২ শতাংশ বেড়েছে। সামনের দিনগুলোতে ফেইসবুক যত বেশি স্টোরিভিত্তিক পদক্ষেপ নেবে তার সুফল স্ন্যাপচ্যাটও পাবে।
অ্যাডএজ অবলম্বনে এমআর/ এজেড/ নভে ০৭/২০১৮/ ১৭২০