বাকিতে মিলবে ফোরজি হ্যান্ডসেট

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : দেশে ফোরজি মোবাইল নেটওয়ার্কের বিস্তার হলেও ব্যবহারকারীর সংখ্যা তেমন বাড়েনি। এর প্রধান প্রতিবন্ধকতা হ্যান্ডসেটের দাম। তাই এ বিষয়ে এবার উদ্যোগী হয়েছে বিটিআরসি।

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গ্রাহকদের কাছে ফোরজি চালিত হ্যান্ডসেট সহজলভ্য করতে বাকিতে কেনার ব্যবস্থা করার পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।

কমিশন মোবাইল ফোন অপারেটরের কাছ থেকে ফোরজি হ্যান্ডসেট কেনার সুবিধা রেখে নতুন কো-ব্র্যান্ডেড হ্যান্ডসেট বাজারজাতের নির্দেশনা দিতে যাচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

Techshohor Youtube

সম্প্রতি একটি কমিশন বৈঠকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মোবাইল ফোন অপারেটর ও হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ীরা যৌথভাবে প্যাকেজ ডিজাইন করতে পারবে-যাতে কোনো রকম জামানত বা ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার ছাড়াই ফোরজি হ্যান্ডসেট পান গ্রাহক।

শিগগির এ নির্দেশনা কার্যকর করতে অপারেটরগুলোর কাছে পাঠানো হবে।

এক্ষেত্রে ছয় মাসের মধ্যে সমান কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করার সুযোগ রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে ওই ছয় মাস গ্রাহককে ওই নির্দিষ্ট অপারেটরের সঙ্গে থাকতে হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, হ্যান্ডসেটটিকে ওই ছয় মাসের জন্য ব্লক করা হবে যাতে গ্রাহক এ সময় ওই সেটে নির্দিষ্ট অপারেটরেই শুধু ব্যবহার করতে পারবে। অন্য অপারেটরের সেবা নিতে গেলে হ্যান্ডসেটটি কাজ করবে না।

পুরো টাকা পরিশোধের আগে পর্যন্ত কোনো অবস্থায় গ্রাহক অন্য অপারেটরের সেবা নিতে পারবেন না। বিদেশে প্রায় সব শীর্ষ ব্র্যান্ড ও শীর্ষ টেলিকম অপারেটর এমন সেবা দিয়ে থাকে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে এখন মোট ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের ৩০ শতাংশ স্মার্টফোন। এর মধ্যে ফোরজি কার্যকর স্মার্টফোনের সংখ্যা আরও কম। এ ক্ষেত্রে হাজার কোটি টাকা খরচ করেও তৈরি ফোরজি নেটওয়ার্ক তেমন কাজে আসছে না। এটিকে দেশের আরও ডিজিটাইজেশনের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

এ নির্দেশনার সঙ্গে আরও কিছু শর্তও জুড়ে দিচ্ছে বিটিআরসি। এতে বলা হচ্ছে, দেশে প্রচলিত সবগুলো স্পেকট্রাম ব্যান্ডেই হ্যান্ডসেটগুলো কার্যকর থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে ৯০০, ১৮০০ বা ২১০০ ব্যান্ডে হ্যান্ডসেটগুলো ব্যবহার উপযোগী হতে হবে।

তাছাড়া হ্যান্ডসেটের নূন্যতম র‍্যাম হতে হবে এক জিবি এবং স্টোরেজ ক্যাপাসিটি ন্যূনতম আট জিবি।

বিটিআরসি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বিভিন্ন দেশে এমন নিয়ম আছে। তাছাড়া বাংলাদেশে যেহেতু মানুষের ক্রয়ক্ষমতা উন্নত দেশগুলোর মতো নয়, তাই এই সুবিধা গ্রাহকদেরকে ভালো মানের হ্যান্ডসেট কেনার ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও সুবিধা দেবে।

গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে ফোরজি চালু হওয়ার পর বিটিআরসির হিসেবে অনুসারে জুন পর্যন্ত ৬০ লাখ গ্রাহক ফোরজি সেবা নিতে শুরু করেছেন, যা অক্টোবর পর্যন্ত এক কোটিতে চলে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এসজেড/আরআর/ নভে০৪/২০১৮/১৪.১০

*

*

আরও পড়ুন