![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : দেশেই এখন গেইমিং কিবোর্ড ও মাউস তৈরি করছে ওয়ালটন।
নিজেদের কারখানায় মেইড ইন বাংলাদেশ খ্যাত ব্র্র্যান্ডটি ঝলমলে লাইটিং, নজরকাড়া ডিজাইন আর শক্তপোক্ত বডির এ দুটি কম্পিউটার যন্ত্রাংশ তৈরি করছে।
ডিভাইসগুলো দেখতে যতটা সুন্দর, গেইম খেলার ক্ষেত্রে কী ততটাই কার্যকর? সেই সিদ্ধান্ত ব্যবহারকারীই নেবেন। তবে কয়েকদিন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা থেকে ডিভাইসটি আসলে কেমন তা দেখে নেয়া যাক।
এক নজরে ‘ডব্লিউকেজি০০৩ডব্লিউবি’ কিবোর্ড
এক নজরে ‘ডব্লিউএমজি০০৩ডব্লিউবি’ মাউস
ডিজাইন
দুটি পেরিফেরালের ডিজাইনই গেইমিংকেন্দ্রিক। বাজেটের মধ্যে যতটুকু গেইমিং কেন্দ্রিক ডিজাইন করা যায়, এ দুটি ডিভাইস তৈরিরতে ওয়ালটন সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। ফলে কিবোর্ড ও মাউস দুটোই দেখতে হয়েছে সুন্দর।
কিবোর্ডের বাটনগুলো উচু করে বসানো হয়েছে যাতে কি-ট্রাভেল বেশি থাকে। ফলে টাইপ করা বা গেইম খেলা, উভয় ক্ষেত্রেই ভুল চাপ পড়ার আশঙ্কা কম। কিবোর্ডে সাত রঙের ব্যাকলাইট দেয়া হয়েছে, যা ঢেউয়ের মত প্যাটার্নে জ্বলবে। তবে চাইলে ব্যাকলাইট বন্ধ রাখা যাবে।
মাউসের ডিজাইন প্রতিটি গেইমারের নজর কাড়তে বাধ্য। সঙ্গে আছে পরিবর্তনযোগ্য রঙের ব্যাকলাইট, পাম গ্রিপে ধরলে আরামের জন্য বিশেষভাবে তৈরি আঙুল রাখার জায়গা। ডানপাশে দুটি বাটনও দেওয়া হয়েছে, যাতে গেইমের মধ্যকার কিছু কাজ সরাসরি মাউস থেকেই করা যায়।
দুটি ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়েছে ব্রেইডেড ক্যাবল। যাতে সহজে ছিঁড়ে না যায়। কিবোর্ডের ফেইসপ্লেট তৈরি করা হয়েছে অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করে। ফলে সময়ের সঙ্গে রঙ নষ্ট হবে না।
পারফরমেন্স
গেইমিং পেরিফেরালের প্রমাণ পারফরমেন্সে। অন্তত মাউসের ক্ষেত্রে তা যথেষ্ট। সর্বোচ্চ ২৪০০ ডিপিআইতে মাউসটি ব্যবহার করা যাবে, ফলে দ্রুততম শুটার গেইম খেলতেও সমস্যা হবে না।
সাইডে প্রোগ্রামযোগ্য বাটন এবং ডিপিআই কমানো বাড়ানোর সুবিধা থাকায় এ বাজেটের অন্যান্য মাউসের চেয়ে গেইমিংয়ের জন্য এটি বেশি কার্যকরী।
কিবোর্ডটির রেসপন্স যথেষ্ট দ্রুত। প্রয়োজনে উইন্ডোজ বাটন বন্ধ করে রাখা যাবে।
এ ছাড়া একসঙ্গে অনেকগুলো বাটন ব্যবহার করার সুবিধা দেয়া হয়েছে। ফলে গেইমিংয়ের সময় সমস্যা হবে না। দীর্ঘ সময় ব্যবহারে হাতে চাপ পড়ার সম্ভাবনা নেই। প্রতিটি বাটনে বোনাস হিসেবে আছে বিজয় লে-আউট। এতে বাংলা টাইপিংয়ে সমস্যা হবে না।
এক নজরে ভালো
এক নজরে খারাপ
মূল্য
কিবোর্ড ও মাউসের প্রতিটির মূল্য ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকার মধ্যে রেখেছে ওয়ালটন।
এস এম তাহমিদ