![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : টানা দুইবার জয়ের পর তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থীতা দাখিল করেছে বাংলাদেশ।
এর আগে ২০১০ সালে মেক্সিকোতে এবং ২০১৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার নির্বাচনে ভালো অবস্থানে থেকে জয়লাভ করে বাংলাদেশ। দুই বারই প্রতিবেশী অনেক দেশকে পেছনে ফেলে জয় আসে। ফলে আইটিইউর নীতি নির্ধারণী কার্যক্রমে অংশ নিতে পেরেছে বাংলাদেশ।
আগেরবার শক্তিধর প্রতিপক্ষ দেশগুলোর সঙ্গে লড়াই করে জয় পায় বাংলাদেশ। নির্বাচনে ১১৫ ভোট পেয়ে সপ্তম স্থান পায়। তখন নির্বাচনে মোট ১৬৭টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধি ভোট দেন।
২০১০ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ এশিয়ার এ অঞ্চলে ১৩টি পদের বিপরীতে ১৭ দেশের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে ১২৩ ভোট পেয়ে ষষ্ঠ হয়েছিল।
এর আগে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আইটিইউ এর সাধারণ সদস্যপদ পায়।
বারবার জয় পেলেও অনেক খরচের এই নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেই অর্থে তেমন কিছু অর্জন করতে পারেনি বলেই মনে করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
নির্বাচনে আইটিউইর সদস্য দেশগুলোর সবাই ভোটাধিকার পান। যেখানে একেক অঞ্চলের জন্যে আলাদা-আলাদা প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়।
তবে নির্বাচনে মূলত অাফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গেই বাংলাদেশের ভালো যোগাযোগ। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেই এবারও নেটওয়ার্কিং চলছে বলে জানা গেছে।
আগামী অক্টোবরে দুবাইতে এবারের নির্বাচন এবং কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। ওই কাউন্সিলেই আইটিইউর নতুন মহাসচিব নির্বাচন এবং পরের চার বছরের কর্মসূচী পাস হবে।
এবার নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে ইতিমধ্যে সরকার কাজ শুরু করেছে বলে জানে গেছে। এর মধ্যে নিজেরা একটি ফোকাল পয়েন্ট গঠন করেছে। ফোকাল পয়েন্ট থেকে বেশ কয়েকটি বৈঠকও করা হয়েছে।
তাছাড়া দেশে বিদেশে নানা অনুষ্ঠানে এর প্রচার চালানো হচ্ছে বলে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।