সিইও পদে থেকেও যারা চাকরি হারিয়েছিলেন

try-to-negotiate-when-techshohor

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : নিজ প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মীর সঙ্গে প্রণয়ে জড়িয়ে পদ হারিয়েছেন ইন্টেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ব্রায়ান ক্রেজনিক।

বিশ্বের অন্যতম চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠাটির নীতিমালায় বলা আছে, কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে পারবেন না। আর এই নীতিমালা ভঙ্গের কারণেই ক্রেজনিককে পদ ছাড়তে হয়েছে।

বড় বড় টেক প্রতিষ্ঠানের সিইও পদে থেকেও খারাপ পারফরম্যান্স কিংবা নীতিমালার কারণে বরখাস্ত করার বা পদত্যাগে বাধ্য করার নজির মোটেও বিরল নয়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক চাকরিচ্যুত হওয়া সিইওদের নাম।

Techshohor Youtube

File photo of Apple Chief Executive Steve Jobs smiling after Apple's music-themed September media event in San Francisco, California

স্টিভ জবস

চাকরিচ্যুত সিইওদের কথা বললে প্রথমেই আসে অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের নাম। যে প্রতিষ্ঠান তিনি নিজ হাতে গড়েছিলেন সে প্রতিষ্ঠান থেকেই তাকে বের করে দেওয়া হয়। অ্যাপল পরিচালনার জন্য পেপসি থেকে যোগ দেওয়া জন স্ক্যালি ছিলেন অ্যাপলের পরিচালনা পর্ষদের প্রথম পছন্দ। তার কারণেই সরিয়ে দেওয়া হয় স্টিভ জবসকে।

ক্যারল বার্টস

গত ২০১১ সালে ইয়াহুর সিইও ক্যারল বার্টসকে একটি ফোন কলে চাকরি ছাড়ার নোটিশ দেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান রয় বোস্টক। তাকে চাকরিচ্যুত করায় কোম্পানিটিতে অচল অবস্থার সৃষ্টি। এই সিদ্ধান্তের ফলে চীনের অংশীদার প্রতিষ্ঠান আলিবাবার সঙ্গে ইয়াহুর সম্পর্কেও চিড় ধরে।

লিও অ্যাপোটেকার

সিইওর পদে বসার মাত্র ১১ মাসের মাথায় লিও অ্যপোটেকারকে বরখাস্ত করে এইচপির পরিচালনা পর্ষদ। তার পদে বসেন এইচপির ডিরেক্টর মেগ হোয়াইটম্যান।  লিও  সিইও থাকাকালীন পর পর তিন প্রান্তিকে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় এইচপি এ সিদ্ধান্ত নেয়।

জিয়ান ফ্র্যানকো ল্যানসি

তাইওয়ানের কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এসারের সিইও জিয়ান ফ্র্যানকো ল্যানসি ২০১১ সালে পদত্যাগ করেন। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ তার ব্যবসায়ীক কৌশলের সঙ্গে এক মত হতে পারেনি। কয়েক দফা আলোচনার পরও এই মতভেদ দূর হয়নি।

ট্রাভিস কালানিক

তিনি সিইও থাকাকালীন একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পরে উবার। এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে উবারে বিনিয়োগকারী প্রধান পাঁচ প্রতিষ্ঠান এমন কাউকে সিইও হিসেবে চেয়েছিলো যিনি চিন্তাধারায় স্বতন্ত্র হবেন। বিনিয়োগকারীদের অনবরত চাপের মুখে ২০১৭ সালে পদত্যাগ করেন উবারের সিইও ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা ট্রাভিস কালানিক।

মার্ক হার্ড

যৌন হয়রানির অভিযোগে ২০১০ সালে এইচপির সিইও মার্ক হার্ডকে পদ ছাড়তে হয়। হঠাৎ করে তার প্রস্থান হওয়ায় শেয়ার মার্কেটে এইচপি কয়েকশ’ কোটি টাকা হারায়। তাকে বের করে দেওয়ায় বেশ কয়েকটি মামলাও হজম করে এইচপি। কিন্তু কোম্পানিটির অভ্যন্তরীণ তদন্তে মার্ক দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকে এইচপি।

phaneesh-murthy-techshohor

পানিশ মূর্তি

আইগেট এর সিইও ও চেয়ারম্যানের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয় পানিশ মূর্তিকে। নিউজার্সির আইটি কোম্পানিটির এক নারী কর্মী পানিশের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন। এতে তদন্ত শুরু হলে এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। আইগেটে যোগ দেওয়ার আগে তিনি ইনফোসিসের ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেখানেও তার বিরুদ্ধে  যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। ২০০২ সালে তাকে বরখাস্ত করেছিল ইনফোসিস।

পিটার চু

প্রায় এক দশক ধরে সিইওর দায়িত্ব পালন করার পর পিটার চুকে বরখাস্ত করে এইচটিসি। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বাজারে ফোন আনতে ব্যর্থ হওয়ায় ও ফোন সম্পর্কে নেতিবাচক রিভিউ আসায় তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

গ্যাজেটস নাউ অবলম্বনে আনিকা জীনাত

*

*

আরও পড়ুন