অ্যাঙ্কার সাউন্ডকোর মিনি, সাউন্ডেই ভালো-মন্দের প্রমাণ

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : চার্জার, ডেটা ক্যাবল ও অন্যান্য ব্লুটুথ পণ্যের জন্য অ্যাঙ্কার বিখ্যাত। এ ব্র্যান্ডের ব্লুটুথ স্পিকারগুলো সম্প্রতি দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। অনেকেই ব্যবহার শুরু করেছেন।

আর যারা স্পিকারের খোঁজে আছেন তাদের জন্য এ প্রডাক্ট রিভিউ। চলুন ক্ষুদ্রাকৃতির সাউন্ডকোর মিনি কেমন তা দেখা যাক।

এক নজরে অ্যাঙ্কার সাউন্ডকোর মিনি

Techshohor Youtube
  • একটি স্পিকার, শক্তি ৭ ওয়াট
  • ব্লুটুথ ৪ দশমিক ২ কানেকশন
  • বেইস বাড়ানোর জন্য বেস রেডিয়েটর
  • ১৫০০ এমএএইচ ব্যাটারি, ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাকআপ
  • মাইক্রো ইউএসবি চার্জিং
  • প্লে, ভলিউম ও ট্র্যাক পরিবর্তনের বাটন
  • মাইক্রোফোন
  • মাইক্রো এসডি কার্ড স্লট

ডিজাইন

সহজেই হাতের মুঠোয় রাখা যাবে স্পিকারটি। ছোট সিলিন্ডারের মত বডির ডিভাইসের ওপরে দেয়া হয়েছে স্পিকার গ্রিল, আর নিচে আছে বেস রেডিয়েটর।

টেবিল থেকে সহজে যাতে না নড়ে সে জন্য তলার প্রায় পুরোটাই দেয়া হয়েছে রাবার। সাইডে থাকা বাটনগুলো সাজানো হয়েছে একটি রাবার স্ট্রিপের মধ্যে। অন্য পাশে দেয়া হয়েছে মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট।

বাটনগুলো সরাসরি না দেখে কোনটা কি বোঝা একটু কঠিন। আর গভীর বেস সমৃদ্ধ গান শোনার সময় স্পিকারটি অল্পবিস্তর লাফাতে পারে।

এ ছাড়া তৈরির মান ও ডিজাইনে সাউন্ডকোর মিনি অনন্য। তবে সেটি পানি নিরোধী হলে আরও কাজের হতে পারত।

সাউন্ড

ছোট স্পিকারের মূল সমস্যা বেইসের অভাব, যেটা এতে নেই। এত ছোট স্পিকার থেকে সাব বেইস আশা করা ঠিক নয়, কিন্তু ড্রামের বেইস বা মিড বেইস খুবই সুন্দরভাবে শোনা যাবে। সবচাইতে অবাক করা বিষয়, স্পিকারের আওয়াজ খুব সহজেই রুমের প্রতিটি কোনায় ছড়িয়ে পড়বে।

তবে একটি মাত্র স্পিকার বা ড্রাইভার থাকায় ট্রেবল, বেইস আর মিডের মধ্যে পার্থক্য করাটা, বিশেষ করে ফুল ভলিউমে দুষ্কর।

যারা অ্যাকুস্টিক, রক বা পপ গান শুনতে পছন্দ করেন তাদের জন্য সাউন্ডকোর মিনি খুবই কাজে আসবে। হাই-ফাই সাউন্ড পাওয়া না গেলেও, দৈনন্দিন গানশোনার কাজ চালানো যাবে স্বাচ্ছন্দ্যে।

দুটি স্পিকার এক সঙ্গে পেয়ার করে স্টেরিও ভাবে চালানো গেলে ভালো হতে পারত, কিন্তু তা করার উপায় নেই।

ব্যাটারি লাইফ

ছোট একটি ডিভাইসের তুলনায় ১৫০০ এমএএইচ ব্যাটারি অনেক। অ্যাঙ্কারের দাবি, স্পিকারটি অনায়েসে ১৫ ঘণ্টা চলতে পারবে।

তবে বেশিরভাগ সময়ই ১২ ঘণ্টার বেশি ব্যাকআপ পাওয়া যায়নি। চার্জিংয়ের জন্যও বেশ কিছু সময় হাতে রাখতে হবে।

ফোনকল ও অ্যাসিস্ট্যান্ট

স্পিকারে মাইক্রোফোন থাকায় সেটি ফোন কলের জন্যও ব্যবহার করা যাবে। প্রয়োজনে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহারও করা যাবে।

মাইক্রোফোনে অসাধারণ পারফরমেন্স পাওয়া যাবে না, যদিও কাজ চালানো যাবে অনায়েসে। অন্তত ৩ ফিট দূরুত্বেও মাইক্রোফোনটি ভালো কাজ করে।

পরিশেষ

এনএফসির মাধ্যমে পেয়ারিং, দুটি স্পিকার ব্যবহার করে স্টেরিও সাউন্ড, পানি নিরোধী বডি বা ঝলমলে লাইট-কোনওটিই অ্যাঙ্কার সাউন্ডকোর মিনিতে নেই। যা আছে, তা হচ্ছে হাতের মুঠোয় এটে যাওয়া একটি শক্তিশালী স্পিকার যা আকৃতির চেয়ে বেশি বেইস দিতে সক্ষম।

এক নজরে ভালো

  • বেইস
  • সব মিলিয়ে সাউন্ডের মান
  • ব্যাটারি লাইফ

এক নজরে খারাপ

  • এনএফসি নেই
  • পানি নিরোধী নয়
  • দুটি স্পিকার একত্রিত করার উপায় নেই

মূল্য

বাজারে দুই হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে স্পিকারটি।

রিভিউটি তৈরি করেছেন টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর এস এম তাহমিদ

*

*

আরও পড়ুন