![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : মোবাইল ইন্টারনেটের দাম বেঁধে দেয়া হচ্ছে শিগগিরই।
আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ)- এর পরামর্শক মোবাইল ইন্টারনেটের কস্ট মডেলিং সংক্রান্ত সার্ভে প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিয়েছে।
এখন গ্রাহকের কাছে কম দামে মোবাইল ইন্টারনেট দিতে দাম বেঁধে দিয়ে নির্দেশনা জারি করা কিছু সময়ের ব্যাপার মাত্র।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েই ইন্টারনেটের এই দাম বেঁধে দেয়ার বিষয়টি দ্রুত বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোস্তাফা জব্বার। দায়িত্বের সাড়ে তিন মাসের মাথায় ইন্টারনেটের কস্ট মডেলিংয়ের বিষয়টি বাস্তব করার পর্যায়ে এসেছে।
মোস্তাফা জব্বার টেকশহরডটকমকে বলেন, আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ)-এর কনসালটেন্টদের পরামর্শ পেয়েছি। এখন কারও এক এমবি বা এক জিবি অথবা যার ইন্টারনেট প্যাকেজ যাই হোক-ইন্টারনেট সেবায় অপারেটরগুলোর কার কোথায় কেমন খরচ তা হিসাব করতে পারবো।
একদম দিনক্ষণ ঠিক করে ঘোষণা দিচ্ছি না। তবে শিগগরিই ইন্টারনেটের দাম বেঁধে দিয়ে সিদ্ধান্ত আসছে।–বলছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী।
তিনি জানান, সাধারণ মানুষের কাছে ইন্টারনেট কম দামে দেয়া, গতি দেয়া এবং সহজলভ্য করা- এই তিনটি বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
এর আগে ২০১৩ সালে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের মূল্য নির্ধারণ করতে চেয়েছিল টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তখন বিটিআরসির এই উদ্যোগে অসন্তুষ্ট হয়েছিল মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো। তারা বলেছিল মোবাইল ফোন ইন্টারনেটের বাজার এখনও ততোটা পোক্ত হয়নি। সুতরাং আরও খানিকটা সময় দেওয়া উচিত।
এরপর ২০১৬ সালের শুরুতে আবার এই কস্ট মডেল তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু তা আর হয়নি।
মাঝে একবার আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের কাছে এ বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ পরামর্শক চেয়েছিল বিটিআরসি। কিন্তু বিনা খরচায় আইটিইউ এই পরামর্শক দিতে চায়নি।
২০১৭ সালের ২৭ মার্চে ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের নির্বাহী কমিটির সভায় মোবাইল ইন্টারনেটের দাম বেঁধে দেয়ার বিষয়টি তোলেন মোস্তাফা জব্বার। এতে টাস্কফোর্স বিটিআরসিকে পরবর্তী এক মাসের মধ্যে এই মডেল তৈরি করে তা জমা দিতে বলেছিল।
ওই সভার নির্দেশনার পর ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে আইটিইউ’র পরামর্শক নিয়োগ দেয় নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি।
বিটিআরসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উন্নত বিশ্বের কোনো দেশই কস্ট মডেলিং ছাড়া ইন্টারনেটের প্যাকেজ সাজায় না। এক্ষেত্রে একেক দেশ একেক পদ্ধতি অবলম্বন করে। কিন্তু অপারেটরদের খরচ, বিনিয়োগ এবং লাভের অংক ধরেই পরে প্যাকেজের মূল্য নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
আল-আমীন দেওয়ান