![]() |
টেক শহর কন্টেন্ট কাউন্সিলর : বহির্বিশ্বে ই-লার্নিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটছে। সেই তুলনায় বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে ই-লার্নিংয়ের বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেছেন প্রফেসর ড. বদরুল হুদা খান।
রোববার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং এডিএন এডুসার্ভিসেস লিমিটেড আয়োজিত ‘ই-ভ্যান ফর লাইফলং লার্নিং’ শীর্ষক সেমিনারে এমন কথা বলেন বিশ্বে মডার্ন ই-লার্নিংয়ের পথিকৃৎ ড. বদরুল হুদা খান।
তিনি বলেন, এগিয়ে যাওয়া প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশে শিক্ষার্থীদের ই-লার্নিংয়ে অভ্যস্ত হতে হবে। না হলে শিক্ষার অনেকগুলো শাখা থেকে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়বেন। কেননা ডিজিটাল এই যুগে ই-লার্নিংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসেই অনেক বিষয়ে শেখা সম্ভব।
উন্নত বিশ্বে শিক্ষায় তরুণদের শিক্ষিত করতে ই-লার্নিংয়ের প্রয়োজন অনেক। সেই ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, এমনটাই মনে করেন ড. বদরুল হুদা খান।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে ই-লার্নিং ভ্যান বা জ্ঞান বাহন সম্পর্কে তুলে ধরেন বদরুল হুদা খান। তার মূল বক্তব্যে তিনি দেখান, অনেক গ্রামে ইন্টারনেট নেই, সেখানে কৃষি, স্বাস্থ্য ও অন্যসব সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে শিক্ষা দিতে এই ভ্যানে রয়েছে প্রজেক্টর ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে সেখানকার তরুণরা ই-লার্নিংয়ে শিখতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো ছাত্রদের ই-লার্নিং বা অনলাইন লার্নিংয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে পারছে না। দেশের শহরাঞ্চলে কিছুটা হলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে ই-লার্নিংয়ের সুযোগ একেবারেই অনুপস্থিত।
ই-লার্নিং বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। অনেক ইচ্ছা এবং চাহিদা থাকা সত্ত্বেও উন্নত বিশ্বের মতো শিক্ষা আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয় না। দেশে প্রচুর মেধা আছে, ই-লার্নিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দেশে বসেই পৃথিবীর নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের পছন্দ মত বিষয়ের উপর ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন বলে মত দেন আলোচনায় অংশ নেওয়া বক্তারা।
সেমিনারের আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ান হাই কমিশনার নুর আশিকিন তাইব, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান মো. সবুর খান, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রধান প্রফেসর ড. তৌহীদ ভূঁইয়া এবং কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রধান প্রফেসর ড. আখতার হোসেনসহ আরও অনেকে।
তুসিন আহমেদ
ধন্যবাদ আয়োজকদের এই ধরনের উদ্যোগের জন্য।
আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ