![]() |
তুহিন মাহমুদ, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : রাজনৈতিক সংকট ও নির্বাচনী ডামাডোলের মধ্যে শুরু হলো নতুন বছর। চলমান অস্থিরতা ও অস্থিতিশীলতায় দেশের অর্থনীতি স্থবির প্রায়। জীবনযাত্রাও চলছে খুঁড়িয়ে। তবে এ দু:সময়ের মধ্যেও সুখবর শোনাতে চান ফ্রিল্যান্সাররা। তবে ফিল্যান্সারদের মানোন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটসহ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অবকাঠামো উন্নয়নের আহবান জানিয়েছেন এ খাতের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা।
নতুন বছরে আউটসোসিং খাতে আয় বাড়ার প্রত্যাশা করছেন ফ্রিল্যান্সাররা। পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতি মন্দার কবল থেকে ক্রমে বেরিয়ে আসছে। এ কারণে কাজের পরিমাণ বাড়বে বলে আশা করছেন তারা। দেশের রাজনৈতিক অবস্থা যাই হোক বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়া গেলে গত বছরের চেয়ে বেশি আয় আসবে বলে জানিয়েছেন তারা।
সক্রিয় ফ্রিল্যান্সারদের মতে, রাজধানী ও নগরীর পাশাপাশি জেলা শহরে ফ্রিল্যান্সিং বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হলে এ খাতে আরও বেশি সাফল্য আসবে। একই সঙ্গে এ খাতের কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দিতে হবে। বিদায়ী বছরে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে জেলা ও উপজেলায় বিভিন্ন বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজনকে তারা ভালো উদ্যোগ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। নতুন বছরে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর কথা বলছেন সকলেই।
অনলাইন মার্কেট প্লেস ওডেস্কের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার ও অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার মাহমুদ হাসান সানি বলেন, ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং সেক্টরে ভাল কাজ করলেও ঘন্টা প্রতি রেট কমে গেছে। দেশের অনেক ফ্রিল্যান্সার শুধু কাজ পাওয়ার আশায় কাজের তুলনায় তাদের রেট কমিয়ে ফেলছেন। নতুন বছরে ফ্রিল্যান্সারদের এ মনোভাব থেকে দূরে সরে আসতে হবে। কাজ পেলেই কাজ করতে হবে এমন চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোয়ালিটির সঙ্গে নিজের কাজের যথাযথ মূল্যও আদায় করা শিখতে হবে।
সানি বলেন, ডাটা এন্ট্রি টাইপের কাজ করলে হবে না, বিজনেস সম্পর্কিত, অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টের মতো মানসম্পন্ন কাজ করতে হবে। অনেকে মনে করছেন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (এসইও) কাজ ফুরিয়ে গেছে। আসলে যারা মনে করতেন লিংক বিল্ডিং মানেই এসইও, তাদের কাজ ফুরিয়ে গেছে। কিন্তু যারা সত্যিকার অর্থে এসইও এর কাজ করছেন তাদের কাজ ঠিকই চলছে।
অভিজ্ঞ এ ফ্রিল্যান্সার থ্রিজিকে দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করার কথা বলেন। তিনি বলেন, সব জায়গায় থ্রিজি পৌঁছালে অবশ্যই দেশের ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর আরও এগিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ নিতে হবে ফ্রিল্যান্সারদের মানোন্নয়নে।
সানি বলেন, বর্তমানে ওডেস্কে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের গড় ঘন্টাপ্রতি রেট ৪ ডলারের মতো। এটিকে আরও কিভাবে বাড়ানো যায় সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। শুধু পুরুষ নয়, নারীদেরও সম্পৃক্ত করতে হবে। তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। ২০১৩ সালের বিপরীতে নতুন বছরে দেশের ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং সেক্টর অনেকাংশে এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) বর্ষসেরা ফ্রিল্যান্সার পুরস্কারপ্রাপ্ত আল আমিন চৌধুরী বলেন, নতুন বছরে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্স খাতটি আরও উন্নত হবে। প্রচুর আইটি এবং নন-আইটি প্রফেশনালরা ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তাদের মূল পেশার পাশাপাশি আউটসোর্সিংকে পেশা হিসেবে নেবে। এটি এ খাতকে আরও এগিয়ে দেবে।
আল আমিন বলেন, গত বছরের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ২০১৪ সালে দক্ষ ফ্রিল্যান্স কর্মী তৈরির জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা চালিয়ে গেলে অচিরেই এর সুফল পাওয়া যাবে। আর এর মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে দেশের অর্থনীতিতে একটি পজেটিভ ফলাফল আসবে।
ইন্টারনেট মার্কেটার এবং ডেভসটিম লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী তাহের চৌধুরী সুমন বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশেষ করে গত তিন বছরের পরিসংখ্যান দেখলে সহজেই বোঝা যায় দেশের ফ্রিল্যান্সারদের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। শুধু সংখ্যায় নয়, আয়ের ক্ষেত্রও লক্ষনীয়। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন বছরে ফ্রিল্যান্স ও আউটসোর্সিংয়ে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। তবে অভিজ্ঞদের এগিয়ে আসতে হবে দুটি উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে।
সুমন বলেন, প্রথমত নজর দিতে হবে পুরাতন ফ্রিল্যান্সারদের কিভাবে আরও দক্ষ করে তোলা যায় সেদিকে। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সারদের আত্মবিশ্বাসী এবং যোগাযোগ (কমিউনিকেশন) দক্ষতা বাড়ানোর সঙ্গে নজর দিতে হবে প্রফেশনালিজম বাড়ানোর দিকে। ‘‘টেকিং ফ্রিল্যান্সিং টু নেক্সট হাইট’ শ্লোগানটিকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
দক্ষ এ ফ্রিল্যান্সের মতে এ খাতকে সমৃদ্ধ করতে অন্য দেশের মতো এখানেও নারীদের ভূমিকা আরও সম্প্রসারণ করতে হবে। সামান্য কিছু উদ্যোগ গত বছর দেখা গেলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল। ডেভসটিম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ে নারীদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসার আহবান জানান।
দেশি অনলাইন পেমেন্ট প্লাটফর্ম পেওনেক্সের রেভিনিউ স্ট্যাটেজিক প্লানিং বিভাগের পরিচালক সানজিদুল আলম সিবান শান বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা পুরো বছর থাকার একটা আভাস পাওয়া যাচ্ছে এরই মধ্যে। অর্থনীতির মূল স্তম্ভগুলো এখন ভেঙ্গে পড়ার সম্মুখীন। তবে এর মধ্যেই নতুন বছরে আউটসোর্সিং ইন্ডাস্ট্রি নতুনভাবে মুখ উচিয়ে দাঁড়াবে।
শান বলেন, হরতাল বা অবরোধে জ্বালাও পোড়াও যাই ঘটুক না কেন একজন আউটসোর্সিং প্রফেশনালের কাছে ইন্টারনেট আর বিদ্যুৎ থাকলে তিনি লাখ লাখ ডলার বৈদেশিক মুদ্রা যোগ করতে পারবেন দেশের জিডিপিতে। নতুন বছরে এ খাত থেকে তিন হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আসতে পারে বলে তিনি আশা করেন।
আমি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো ভালো ভাবে করতে চাই। কিন্তু আমি ভালো কোন প্রতিষ্ঠান পাচ্ছি না। কেননা অনেকেই ফিল্যান্সিংয়ের কিছু কাজ করিয়ে থাকে, কিন্তু সেগুলো কাজ করার মতো নয়। তাই কিভাবে ভালো ভাবে ফিল্যান্সিং এর কাজ শিখা যাই সে ব্যাপারে অবশ্যই সহায়তা করবেন।
Ami kaj ta korta chi
Ami personali ekjon graphic design print media’r sthe jorito kintu freelancing somporkito kono guideline ami onek chesta koreo karo kacheo paini e bapare podokkhep neben bole asa kari
আমি freelancerকাজ করতে চাই কিন্তু আমি কোন পতিষ্ঠান পাচ্ছি না।freelancerএর কাজ শিখা যাই আপনারা সহায়তা করবেন কি
ভাই আমি কাজতা সিকতে চাই।
Ami Kajta Shikte chay. Tar janno amake ki korte hobe…
amro itsa silo boro vaider mioto online a freelancer a kaj kore dolar income korte kinto amr online a freelancer somporke ekdom experirence nai, r kivabe j register kore tao, janena, sodo tai noi , kothai gele j kaj pabu, kivabe korbo r kivabe taka lenden kor bo tao thik moto janena, n ki rokom kaj korle amr income hobe se bisoyeo jana ney, amaro apnader moto khub itsa ase freelancer kaj kore desher jobokder bekar mokto kisota holeo kome asuk. tai ples jodi paren amakeo akto help korun, jate amio apnader moto online a kisu akta korte pari, lekhai jode kono vull thakle pls amy khoma kore dio. ranesh